জায়নবাদ : স্বরূপ ও প্রকৃতি
লিখেছেন লিখেছেন একপশলা বৃষ্টি ০৫ আগস্ট, ২০১৪, ০৩:২১:২৬ দুপুর
জায়নবাদ। সময়ের সবচে' বর্বর এক মনগড়া মতবাদ। মানবতার ইতিহাসে এক জীবন্ত বিভীষিকা। যখনই এশব্দযুগল উচ্চারিত হয়, কানে ভেসে আসে, রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত মানবতার আর্তনাদ, ভেসে উঠে অসহায় নারী শিশুর লাশের সারি আর কানে বাজে মাতা-পিত সন্তান কিংবা সন্তানহারা মায়ের আহাজারি। কেবলই ভাসে ধ্বংস-বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের ছবি আর বর্বর ইহুদি-হায়েনার উল্লাস।
জায়নবাদ-ইহুদিবাদ-পাশবিকতা আজ প্রতিশব্দ হয়ে আছে।
জায়নবাদ কী : এটি ইহুদিদের একটি মনগড়া মতবাদ। এর মূল বিশ্বাস হল, 'ইহুদিরা ইশ্বরের একমাত্র নির্বাচিত জাতি। ইশ্বরের সাথে তাদের চুক্তি হয়েছে, ফিলিস্তিনের ভূমিতে তাদের সম্রাজ্য প্রতিষ্টত হবে আর এর রাজধানী হবে জেরুজালেম।'
তাদের বিশ্বাস, তারা ইবরাহিম আ. এর সন্তান ইসহাক আ. এর সন্তান -যিনি প্রথম স্ত্রী ছিলেন। আর আরবরা হাযেরা আ. এর সন্তান -যিনি দ্বিতীয় স্ত্রী বা খাদেমা ছিলেন। তারা যেহেতু প্রথম স্ত্রীর সন্তান তাই তারা মনিব আর আরবেরা যেহেতু খাদেমা বা দাসীর বংশধর তাই এরা গোলামের জাতি। আর গোলামের উপর মনিবের কর্তৃত্ব সর্বস্বীকৃত। এজন্য আরবদের উপর তাদের প্রভুত্ব কেবল বৈধই নয় জন্মগত অধিকারও বটে। ফিলিস্তিনিদের সাথে তাদের আচরণ এরই ধারাবাহিকতা ভিন্ন কিছু নয়। এতে অপরাধবোধের প্রশ্নই আসে না।
জায়নবাদের জন্ম : চৌদ্দশত বছর আগে আরব ভূখণ্ড থেকে বিতাড়িত অভিশপ্ত ইহুদিরা যাযাবরের মত জীবন-যাপন করছিল। ১৮৯৭ সালে তারা এই মতবাদকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দান করে।
এদিকে ইহুদিদের প্রকৃতিজাত কুটিলতায় বিধ্বস্ত ইউরোপ তাদের বের করে দেবার জন্য রাস্তা খুঁজছিল। তাদের এই মতবাদের কারণে ইউরোপের জন্য বিতারনের রাস্তা সহজ হয়ে গেল। সেই উদ্দেশ্যে তৎকালীন পরাশক্তি বৃটেন ফিলিিস্তনে ইহুদি কলোনি স্থাপন শুরু করে। যার সর্বশেষ অবস্থা, আজকের ইসরাইল।
পশ্চিমারা কেন সহায়তা করে : ইহুদি জায়নবাদি চিন্তার আড়লে আরেকটি জায়নবাদি মতবাদও প্রতিপালিত হচ্ছে। এর নাম খ্রিস্টীয় জায়নবাদ। তাদের বিশ্বাস হল, ইহুদিরা আরবের উপর কর্তৃত্ব নেবার পরই ঈসা আ. পৃথিবীতে নেমে আসবেন আর তাদের পাপমুক্ত করে স্বর্গারোহণ নিশ্চত করবেন। তাই ইহুদিদের বাঁচিয়ে রাখা, আরবের উপর কর্তৃত্ব দান করা, নিজেদের স্বার্থেই ওদের করতে হবে। সে জন্য যা প্রয়োজন -সবই করতে প্রস্তুত তারা।
এজন্যে, যেমন ইসরালের কাছে সহাবস্থান আশা করা অসম্ভব। তেমনি, পশ্চিমাদের সহযোগিতায় শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখাও অবান্তর। ফিলিস্তিনিদর ভাগ্য নিজেরাই নির্ধারন করতে হবে। প্রয়োজনে প্রতিটি ফিলিস্তিনিকে হামাস-আইসিস হতে হবে। এযে অস্থিত্বর লড়াই!
দানব আর মানবের সম্মুখ সমরে দানবের ভাষায় কথা বলা ছাড়া বেঁচে থাকার উপায় নেই।
বিষয়: বিবিধ
১২৯৮ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যদিও ইদানিং বেশ প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। লেপটপ ছেড়ে মোবাইলে কাজ করা প্রতিকূল বৈ কি!
এর পপরও প্রতিটি লেখায় বন্ধুদের নিয়মিত মতামত আমার সীমিবদ্ধতা ভুলে গিয়ে ব্লগে নায়মিত হতে সাহায্য করবে বলেই আশা করি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন